Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
কাজী অফিসে তালাকের নিয়মঃ বিয়ে হলো একটি পবিত্র সামাজিক বন্ধন। কিন্তু মনের অমিল, টানাপোড়ন বা সার্বিক পরিস্থিতির কারণে কখনো কখনো এই পবিত্র বন্ধন থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় দম্পতি। মূলত বিবাহ বিচ্ছেদের মাধ্যমে একজন স্বামী এবং স্ত্রী সেপারেট হয়ে থাকেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না– কোন নিয়মে ডিভোর্স অর্থাৎ তালাক দেওয়া যায়। কিছু মানুষের প্রশ্ন স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম কি, আবার কিছু মানুষের প্রশ্ন স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম কি! আমরা সেই উভয় নিয়ম আপনাদের সামনে তুলে ধরব আজকের এই নিবন্ধনটিতে।
কেননা আমাদের আজকের আলোচনার টপিক কাজী অফিসে তালাকের নিয়ম। তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা- আপনি যদি কাজী অফিসে ডিভোর্স দিতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে কাজী অফিসে তালাকের নিয়ম, কাজী অফিসে তালাকের খরচ, কাজী অফিসের তালাকের নোটিশ পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে পড়ুন। কেননা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি সঠিক নিয়মে আপনার স্ত্রী অথবা আপনার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারবেন।
আরও দেখুনঃ বিয়ের বাজার লিস্ট, বিয়ের বাজার লিস্ট PDF
কাজী অফিসে তালাকের নিয়ম জানা থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো সম্ভব। আমরা প্রত্যেকেই জানি, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের বা যেকোনো অফিসের সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থেকে থাকে। ঠিক একইভাবে কাজে অফিসে তালাকের নিয়ম কিছুটা ভিন্ন হতেই পারে এটা স্বাভাবিক। আর তাই কাজী অফিসে তালাকের নিয়ম সম্পর্কে জানা জরুরী।
কেননা ইতোমধ্যে তালাক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নতুন ফ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের ২৯ তারিখে মূলত বিয়ে নিবন্ধন ও তালাক এর খরচ বাড়িয়ে টাকার পরিমাণ অনেকটাই বেশিতে গিয়ে পৌঁছেছে। পূর্বে তালাক দেওয়ার নিবন্ধন ফ্রি ছিল মাত্র ৫০০ টাকা কিন্তু বর্তমানে সেটা বেড়ে গিয়ে দ্বিগুণ হয়েছে অর্থাৎ বর্তমান তালাক নিবন্ধনের ফ্রি ১০০০ টাকা। তাই আপনি যদি কাজী অফিসে গিয়ে তালাকের জন্য আবেদন করতে চান এবং নিবন্ধন এর জন্য সুপারিশ করতে চান তাহলে প্রথমত আপনাকে হাজার টাকা সংগ্রহ করতে হবে।
পরবর্তীতে তালাকের নোটিশ পাঠানোর মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের পর আপনি আপনার সেপারেট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক কাজী অফিসে তালাকের নিয়ম মেনে তালাক দিতে চাইলে আপনাকে কিভাবে তালাকের নোটিশ পাঠাতে হবে এবং তালাক দিতে কি কি প্রয়োজন পড়বে!
আপনি যদি কাজী অফিসে গিয়ে আপনার স্ত্রীকে অথবা আপনার স্বামীকে তালাক দিতে চান তাহলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হিসেবে কিছু জিনিস লাগবে। সেগুলো হলো:-
তবে হ্যাঁ, তালাক দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই জানা প্রয়োজন তালাক মূলত কত প্রকার? তাই আপনি যদি এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করতে চান তাহলে এখনই করে ফেলতে পারেন ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত এই আর্টিকেলটি। কেননা ইতোমধ্যে আমরা স্বামীকে এবং স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত একটা আর্টিকেল আমাদের ওয়েব সাইটে পাবলিশ করেছি। এবার আসুন আলোচনার শেষ পর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক কাজী অফিসে তালাকের নোটিশ পাঠানোর নিয়ম এবং খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি মূলত দুইটি মাধ্যমে কাজী অফিসে তালাকের নোটিশ পাঠাতে পারবেন। সেগুলো হচ্ছে:-
তবে সচরাচর মানুষ ডাক বিভাগের মাধ্যমে তালাকের নোটিশ পাঠিয়ে থাকে। আর আমরাও সাজেস্ট করবো ডাক বিভাগের মাধ্যমে তালাকের নোটিশ পাঠানোর। কেননা যদি আপনি সরাসরি গিয়ে তালাকের জন্য নোটিশ পাঠিয়ে আসেন তাহলে সেটা কাজী অফিসের কর্তৃপক্ষ তা সহজেই অস্বীকার করতে পারেন যে আপনি কোন নোটিশ পাঠাননি।
কিন্তু ডাগযোগের মাধ্যমে পাঠালে সেটা প্রমাণ হিসেবে আপনার কাজ করবে। পরবর্তীতে নব্বই দিনের মধ্যে অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে আপনার তালাক কার্যকর হবে বলে আশা করা যায়।
ইতোমধ্যে আমরা কাজী অফিসে ডিভোর্স নিবন্ধন তোলার জন্য এক হাজার টাকার প্রয়োজন পরে তা উল্লেখ করেছি। তবে হ্যাঁ তালাক দিতে মোট কত টাকা লাগে তার সঠিক পরিমাণ বলাটা সম্ভব নয়। কেননা একেকজনের একেকরকম খরচ হয়ে থাকে তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে। তবে আনুমানিক একটা ধারণা প্রদান করব এ পর্যায়ে।
আপনি যদি কাজী অফিসে তাড়াতেন তাহলে মোটামুটি পনেরশো থেকে দুই হাজার টাকা খরচ পড়বে। তবে হ্যাঁ কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিতে চাইলে টাকার পরিমান অনেকটাই বেশিতে গিয়ে দাঁড়ায় যেমন ধরুন ১০ থেকে ১৫ হাজার।
পরিশেষে: তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, কাজী অফিসে তালাকের নিয়ম সম্পর্কিত আজকের আর্টিকেলটির এখানেই ইতি টানছি। আশা করি কাজী অফিসের তালাকের নিয়ম সম্পর্কে জেনে আপনি খুব সহজেই সেপারেটের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তো সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আরও পড়ুনঃ