যখন একটা গ্রামে একটা মাত্র টেলিভিশন ছিল তখন সন্ধ্যার পরে বিনোদনের অন্যতম একটা বিষয় ছিল ধাধা। বিশেষত সমবয়সী ছেলে মেয়েদের মধ্যে একজন আরেকজনকে ধাঁধা প্রশ্ন করত এবং অন্যরা উত্তর দিত। যদি উত্তর দিতে না পারতো তাহলে প্রশ্নকারীকে এই ধাধার উত্তর দিতে হতো। আরও দেখুনঃ ভালোবাসার উক্তি | সেরা নতুন ৭০টি প্রেমের রোমান্টিক উক্তি
কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আজকে সকলের হাতে হাতে প্রযুক্তির ছড়াছড়ির কারণে ধাঁধা পৃথিবীর বুক থেকে আস্তে আস্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার পথে। তার পরেও অনেকেই আছেন আপনারা ধাঁধার কোন উৎস খুঁজে পান না। তাই আমরা আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম সেরা কিছু ধাধা উত্তর সহ।
ধাঁধা প্রশ্ন উত্তর সহ
ধাঁধা গুলো দেখার আগে একটা বিষয় পরিষ্কার করে বলা দরকার যে এই ধাঁধা গুলো বিভিন্ন উৎস হতে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাছাড়া ধাধার উত্তর ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। তাই এখানে যদি কোন ধাঁধার উত্তর আপনার সঠিক বলে মনে না হয় তাহলে চিহ্নিত করে আমাদের কমেন্টে জানিয়ে দিতে পারেন। আরও দেখুনঃ দুষ্টু মিষ্টি ধাঁধা উত্তর সহ | হট ধাঁধা উত্তর সহ
এতে করে আমরা উক্ত ধাঁধার উত্তর সংশোধন করে নেব। তাহলে চলুন চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক এক সমুদ্র ধাঁধার সারি থেকে।
** এ কোন ব্যাটা শয়তান, থাকে বসে ধরে কান।
উঃ—চশমা।
** এপার ঝাটি, ওপার ঝাটি। ঝাটিতে করে, পিটা পিটি।
উঃ—চোখের পাতা।
** এমন কি বস্তু ভাই তিন অক্ষরে হয়, যা দ্বারা পৃথিবী সদা পূর্ণ রয়। প্রথম অক্ষর বাদ দিলে খেলার বস্তু হয়, শেষ অক্ষরে আকার দিলে সবাই মিষ্টি কয়।
উঃ—বাতাস।
** এমন কোন স্থান আছে, দেখতে যেখা পাই, মাকেদাদী, বৌকে মা, বাপকে বলে ভাই। উত্তরটা সোজা, একটু খুঁজলেই পাবে, মাথায় হাত দিয়ে ভাই, কে এতো ভাবে!
উঃ—অভিনয় মঞ্চ।
** এমন কোন বস্তু আছে যে ধরায়, না চাইতেই তা সর্বলোকে পায়।
উঃ—মৃত্যু।
** এমন রক প্রাণি বের করো তো খুঁজে, সর্বদাই সে হেটে বেড়ায় চোখ না ছুঁজে।
উঃ—মাছি।
** এমন এক প্রাণী আছে, ধান চাল খায়। মাইল মাইল দৌড়ে, যুদ্ধ করতে যায়।
উঃ—ইঁদুর।
** এমন কি কথা আছে, শুনলে রাগ হয়। কোথাও কেউ খুঁজে পায়নি কেহ কোনদিন, তবু শোনা যায়।
উঃ—ঘোড়ার ডিম।
** এমন একটি দেশের নাম বলো, যার প্রথম দুটি অক্ষরে মানুষ হলে, শেষের দুটিতে রাস্তা বোঝায়।
উঃ—নরওয়ে।
** এমন একটি শহরের নাম বলো, যা খোলা নয়। কিন্তু সত্যি তা নয়, না বলতে পারলে সবে বোকা কয়।
উঃ—ঢাকা।
** এমন একটি কাপের নাম বলো দেখি ভাই, যে কাপেতে চা চিনি, দুধ পানি একটুও নেই।
উঃ—হিরো কাপ।
** এরা বাপবেটা ওরা বাপবেটা তালতলা দিয়ে যায়। তিনটি তাল পড়লে তারা, সমান ভাগে পায়।
উঃ—বাপ, ছেলে, নাতি।
** এক বৃক্ষে ফুটেছে, এক জোড়া ফুল। হীরা মানিক কভু নয়, তার সমতুল।
উঃ—চোখ।
** এক বাড়ির দুই দরোজা দিয়া জল গড়িয়ে পড়ে, হাওয়া ছাড়া আর হাওয়া নেয়ার পরে।
উঃ—সর্দি।
** এক বুড়ির আছে বারোটি ছেলে। তার বারো ঘরে থাকে এখন ৩৬৫ টি ছেলে।
উঃ—বৎসর।
** এক গাছে তিন তরকারী, আজব কথা বলি হাড়ি।
উঃ—কলাগাছ।
** এক গাছে বহু ফল, গায়ে কাটা কাঁটা। পাকলে ছাড়াও যদি, হাতে লাগে আঠা।
উঃ—কাঠাঁল।
** এক সাথে সাতটা রঙ, কোথায় থাকে বলো। না পারলে বুঝবো, তুমি বিজ্ঞানে নও ভাল।
উঃ—রংধনু।
** এক শালিকের তিন মাথা, দেহ মুখে আঠা। বাক্সের ভিতর ফেলি তবু, যায় দেশ বিদেশ।
উঃ—চিঠি।
** এক ঘরে এক থাম। বল কি তার নাম।
উঃ—ছাতা।
** আমি যখন এলাম, কেন তুমি এলে না তুমি যখন এলে, কতো কি খেলে, একবার গেলে, ফের তুমি এলে, কিন্তু হায়! বৃদ্ধাকালে মোরে ছেড়ে গেলে।
উঃ—দাঁত।
** আমি যারে আনতে গেলাম, তারে দেখে ফিরে এলাম সে যখন চলে গেলো তখন তারে নিয়ে এলাম।
উঃ—বৃষ্টিও পানি।
** উপরে চাপ নীচে চাপ, মধ্যেখানে চেরোয় সাপ।
উঃ—জিহ্বা।
** আমি যাকে মামা বলি, বাবাও বলে তাই, ছেলেও মামা বলে, মাও বলে তাই।
উঃ—চাঁদ
** উপর থেকে পড়ল বুড়ি রঙ্গিন জামা গায়, যে পায় সে ঘরে নিয়ে রস তার খায়। উঃ—তাল।
**. আমি তুমি একজন দেখবে একই রূপ। আমি কতো কথা কই, তুমি কেন চুপ।
উঃ—ছবি।
** এপারে ঢেউ, ওপারে ঢেউ মধ্যিখানে বসে আছে, বুড়া বেটার বউ।
উঃ—শাপলা।
** আত্মীয়রা বসাতে পারে না ভাগ, চোরে করতে পারে না চুরি। দান করলে হয় না ক্ষয়। বলতো দেখি কোন জিনিষ হয়।
উঃ—জ্ঞান।
** ইড়িং বিড়িং তিড়িং ভাই, চোখ দুটি তার মাথা নাই। আছে দুটি বাঁকা হাত, পানিতে বসে খায় ভাত ।
উঃ—কাঁকড়া।
** এক গোছা দড়ি, গোছাতে না পারি।
উঃ—রাস্তা।
** উপর থেকে এলে পাখি সাদা কাপড় পরে। ভোজনে বসলে পাখি মাছ ধরে মারে।
উঃ—বক।
** উপর থেকে এলো পাখি, শন শন করে। মরা পাখী কিন্তু, ধান খায় কড়মড় করে।
উঃ—ঢেকি।
** উপর হতে পড়লো বুড়ি, কাথা কম্বল লয়ে। ভাসতে ভাসতে যায় বুড়ি কানাই নগর দিয়ে।
উঃ—তাল।
** উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম দালান বাড়ি কোঠা। ভাত শালিকে বলে গেলো, ফলের আগায় পাতা।
উঃ—আনারস।
**. উলটা দেশের আজব কথা, সত্য কিন্তু বটে, পেট দিয়ে সে আহার করে, মাথা দিয়ে চাঁটে।
উঃ—গর্ভস্থ সন্তান।
** এমন একটা গাই আছে, যা দেই তাই খায়, পানি দিলে মরে যায়।
উঃ—আগুন।
** উলটালে ধাতু হয়, সোজাতে জননী কী শব্দ হয় তাহা, বল দেখি শুনি।
উঃ—মাতা।
** উড়তে পেখম বীর, ময়ূর সে নয়। মানুষ খায় গরু খায়, বাঘ সে নয়।
উঃ—মশা।
** এমন আশ্চর্যের কথা শুনেছো কি ভবে, কাউকে দিলে পরে, রাখতে তোমায় হবে?
উউঃ—কথা।
** উঠান টন টন, ঘন্টায় বাড়ি। কোন ছাগলের মুখে দাঁড়ি।
উঃ—রসুন।
** আট পা, ষোল হাটু, বসে থাকে বীর বাঁটু, শূন্যে পেতে জাল, শিকার ধরে সর্বকাল।
উঃ—মাকড়সা।
**. আকাশে আছি, বাতাসে আছি, নাই পৃথিবীতে। চাঁদ আর তারায় আছি, নাই কিন্তু সূর্যতে।
উঃ—আঁধার।
** আকাশ থেকে পড়ল ফল, ফলের মধ্যে শুধুই পানি।
উঃ—শিলা।
** আকাশে উড়ি আমি, পাখির আকারে। মাছ ধরে যাই আমি দৈত্যের রূপ ধরে।
উঃ—বক।
** আকাশে নাতাসে আছি, পৃথিবীতে নেই। চাঁদ আর তারায় আছি সূর্যতে নেই।
উঃ—আকার।
** আকাশে মস্তক যার পাতালে আঙ্গুল, মাথার উপর আছে এক ছাতা। প্রশারিয়া সুত যদি ভূমি হয় স্থিতি আনন্দেতে নরগণ ধায় দ্রুত গতি।
উঃ—তাল গাছ।
** আগা গোড়া কাটা, চুলের জন্য সৃষ্টি।
উঃ—চিরুনী।
** আকাশেতে জম্ম তার, দিবা রাতি থাকে। লোকে কিন্তু রাত্রিতে কেবল দেখে।
উঃ—তারা।
** আগ কেটে বাগ কেটে রূপিলাম চারা, ফল নেই, ফুল নেই, শুধু লতায় ভরা।
উঃ—পান।
** আকাশের বড়ো উঠান, ঝাড়ু দেওয়ার নেই। এই যে ফুল ফুটে আছে, ধরবার কেউ নেই।
উঃ—তারা।
** আকাশ হতে পড়ল কল, তার মধ্যে রক্ত। বলতে হবে, কি নাম তার?
উঃ—কালোজাম।
** আসবে তারা যাদের স্বভাব, ভাত ছড়ালে হবে না অভাব।
উঃ—কাক।
** আসলে নকল দেখি, মাথা কেটে সিক্ত নাকি। শেষ জোড়া দু নম্বরটা, তাই নিয়ে যায় শিকারী।
উঃ—ভেজাল।
** আঘাত নয়, দেশের নাম, বলতে পারলে সম্মান।
উঃ—ঘানা।
** আচার্য মহাশয় বলেন, কিন আশ্চর্য কথা! কোল কালে কে শুনেছে, ফলের আগায় পাতা।
উঃ—আনারস।
** ইংরেজিতে বাদ্য, বাংলায় খাদ্য কিবা সেই ফল, চট করে বল।
উঃ—বেল।
** আট পায়ে চলি আমি, চার পায়ে বসি। কুমির নই, বাঘ তো নই আস্ত মানুষ কিন্তু গিলি।
উঃ—পালকি।
** উপরে তা দিলে অন্ডতে হয় বাচ্চা লেজ বাদ দিলে মাথা বাঁচায় আস্থা।
উঃ—ছাতা।
** আট চালা ঘর তার, একটিই খুঁটি ঘর বন্ধ করতে হলে তার টিপতে হয় টুটি।
উঃ—ছাতা।
** আদি স্থানে একুশ দিয়ে পাঁচ অংকের সংখ্যা ভাই। চার দিয়ে করলে গুণ উল্টে যায় সংখ্যাটাই।
উঃ—২১৯৭৮।
** তিন অক্ষরে নামটি তার আছে সবার ঘরে, প্রথম অক্ষর কেটে দিলে খেতে ইচ্ছে করে। মাঝের অক্ষর উড়ে গেলে বাজে সুরে সুরে।
উঃ–বিছানা।
** তিন বর্ণে নাম তার পুস্প কুরে বাস, দুয়ে তিনে হের মোরে ফরেতে প্রকাশ এ তিনে যাহা পাও তারে খেরে সবে, বরো দেখি কোন নামে চলি ভবে
উঃ—বকুল ফুল।
** তিন অক্ষরে নাম মোর নাচতে পারি ভাল, শেষের অক্ষর বাদ দিলে মারতেও পারি ভাল
উঃ—লাটিম।
** তিন বর্ণে নাম তার কে বলিতে পারে, গৃহ ছাড়া থাকে না সে সবে চিনে তারে। আদি বর্ণ ছেড়ে দিলে পানি যে গড়ায়, মধ্যম ছাড়িতে তাতে পানি রাখা যায়। শেষ বর্ণ ছাড় যদি জ্ঞানের মশাল, ইহা বিনা ধরাতলে সকলি বেতাল।
উঃ–জানালা
** তিন অক্ষরে নাম ভাই আছে দুনিয়ায়, শেষের অক্ষর বাদ দিলে ভাই, বাংলায় অর্থ তৈরি হতে হয়।
উঃ—রেডিও
** তিন বর্ণে নাম যার অনেকেই খায়, পেট কেটে দিলে তার তাক হয়ে যায়। শেষ বর্ণ বিহনে সেজে পিতলেতে রয়, বলো নবীন ভাই-বোনেরা কোন সে বস্তু হয়।
উঃ—তামাক।
** রজনীতে জম্ম তার দিবসে মরণ, বিনাশ্রমে শূন্যপথে করে সে ভ্রমণ, ক্ষণে দর্শন হয়ে ক্ষণে অদর্শন, হঠাৎ পড়িলে সবে বলে অলক্ষণ।
উঃ–তারা
** তোমার বৌ তুমি গেলে দেয় না, কিন্তু আমি গেলে দেয়।
উঃ–ঘোমটা।
** রাতের নিঝুম পথে কে চলেছে ছুটে, রয়েছে কাছে অনেক টাকা পাছে বা কেউ লুটে
উঃ—রানার।
**. তোর দেশেতে সূর্য ওঠে সকাল বেলা ভোর বেলাতে বলতো দেহি কোন দেশেতে সূর্য ওঠে মাঝ রাতেতে।
উঃ–নরওয়ে।
** রাঙ্গা বিবি জামা গায়, কাটিলে বিবি দুই খান হয়।
উঃ—মসুরির ডাল।
** অন্ধ নদী পিছল পথ হয়না দিন, সদা রাত, নদীর জন্য সোবেশাম, পায়ে পড়ে মাথার ঘাম।
উঃ—পেট।
** রাত্রিকালে আঁধারেতে যার যার ঘরে, তার বাড়িতে সকল লোকে কান্নাকাটি করে।
উঃ—চোর।
** আকাশ ধুমধুম পাতালে কড়া, ভাঙ্গল হাঁড়ি লাগল জোড়া।
উঃ—মেঘের ডাক ও বিজলী।
** কোন প্রাণী বল দেহি ছয় ছয় পায়ে হাঁটে, ঘুরতে তাকে তোমরা দেখো যেথায় খুশি পথে গাটে।
উঃ—পিঁপড়া।
** আল্লাহর তৈরী পথ, সাত রঙ্গে সৃষ্টি, কভু কভু দেখা যায়, হয় যদি বৃষ্টি।
উঃ—রংধনু।
** আল্লাহর তৈরী রাস্তা, তৈরি মানুষের সাধ্য নেই। হরেক রকম নাম তার বলোতো কি জিনিষ তা?
উঃ—রংধনু।
** আল্লাহর কি কুদরত, লাঠির মধ্যে শরবত।
উঃ—ইক্ষু।
** আকাশে ঝিকিমিকি, চৌতালায় তার বাস। তাকে আবার, মানুষের খাইতে বড় আশা।
উঃ—হুক্কা।
** আকাশে থাকে, অতশে নেই, নাম কী তার বল তো ভাই?
উঃ—ক।
** তিন অক্ষরে নামটি তার আছে সবার ঘরে, প্রথম অক্ষর কেটে দিলে খেতে ইচ্ছে করে। মাঝের অক্ষর উড়ে গেলে বাজে সুরে সুরে।
উঃ–বিছানা।
** তিন বর্ণে নাম তার পুস্প কুরে বাস, দুয়ে তিনে হের মোরে ফরেতে প্রকাশ এ তিনে যাহা পাও তারে খেরে সবে, বরো দেখি কোন নামে চলি ভবে
উঃ—বকুল ফুল।
** তিন অক্ষরে নাম মোর নাচতে পারি ভাল, শেষের অক্ষর বাদ দিলে মারতেও পারি ভাল
উঃ—লাটিম।
** তিন বর্ণে নাম তার কে বলিতে পারে, গৃহ ছাড়া থাকে না সে সবে চিনে তারে। আদি বর্ণ ছেড়ে দিলে পানি যে গড়ায়, মধ্যম ছাড়িতে তাতে পানি রাখা যায়। শেষ বর্ণ ছাড় যদি জ্ঞানের মশাল, ইহা বিনা ধরাতলে সকলি বেতাল।
উঃ–জানালা
** তিন অক্ষরে নাম ভাই আছে দুনিয়ায়, শেষের অক্ষর বাদ দিলে ভাই, বাংলায় অর্থ তৈরি হতে হয়।
উঃ—রেডিও
** তিন বর্ণে নাম যার অনেকেই খায়, পেট কেটে দিলে তার তাক হয়ে যায়। শেষ বর্ণ বিহনে সেজে পিতলেতে রয়, বলো নবীন ভাই-বোনেরা কোন সে বস্তু হয়।
উঃ—তামাক।
** রজনীতে জম্ম তার দিবসে মরণ, বিনাশ্রমে শূন্যপথে করে সে ভ্রমণ, ক্ষণে দর্শন হয়ে ক্ষণে অদর্শন, হঠাৎ পড়িলে সবে বলে অলক্ষণ।
উঃ–তারা
** তোমার বৌ তুমি গেলে দেয় না, কিন্তু আমি গেলে দেয়।
উঃ–ঘোমটা।
** রাতের নিঝুম পথে কে চলেছে ছুটে, রয়েছে কাছে অনেক টাকা পাছে বা কেউ লুটে
উঃ—রানার।
**. তোর দেশেতে সূর্য ওঠে সকাল বেলা ভোর বেলাতে বলতো দেহি কোন দেশেতে সূর্য ওঠে মাঝ রাতেতে।
উঃ–নরওয়ে।
** রাঙ্গা বিবি জামা গায়, কাটিলে বিবি দুই খান হয়।
উঃ—মসুরির ডাল।
** অন্ধ নদী পিছল পথ হয়না দিন, সদা রাত, নদীর জন্য সোবেশাম, পায়ে পড়ে মাথার ঘাম।
উঃ—পেট।
** রাত্রিকালে আঁধারেতে যার যার ঘরে, তার বাড়িতে সকল লোকে কান্নাকাটি করে।
উঃ—চোর।
** আকাশ ধুমধুম পাতালে কড়া, ভাঙ্গল হাঁড়ি লাগল জোড়া।
উঃ—মেঘের ডাক ও বিজলী।
** কোন প্রাণী বল দেহি ছয় ছয় পায়ে হাঁটে, ঘুরতে তাকে তোমরা দেখো যেথায় খুশি পথে গাটে।
উঃ—পিঁপড়া।
** আল্লাহর তৈরী পথ, সাত রঙ্গে সৃষ্টি, কভু কভু দেখা যায়, হয় যদি বৃষ্টি।
উঃ—রংধনু।
** আল্লাহর তৈরী রাস্তা, তৈরি মানুষের সাধ্য নেই। হরেক রকম নাম তার বলোতো কি জিনিষ তা?
উঃ—রংধনু।
** আল্লাহর কি কুদরত, লাঠির মধ্যে শরবত।
উঃ—ইক্ষু।
** আকাশে ঝিকিমিকি, চৌতালায় তার বাস। তাকে আবার, মানুষের খাইতে বড় আশা।
উঃ—হুক্কা।
** আকাশে থাকে, অতশে নেই, নাম কী তার বল তো ভাই?
উঃ—ক।
** এক ঘরে জম্ম হয়, দুই সহোদর ভাই। মানুষের শরীর মাঝে, এর দেখা পাই।
উঃ—চোখ।
** এক হাত গাছটা, ফল ধরে পাঁচটা।
উঃ—হাতের পাঁচ আঙ্গুল।
** লোহার চেয়ে শক্ত তুলোর চেয়ে নরম।
উঃ—মন।
** একই দামের শাড়ি, পরে দুইটি মেয়ে যায়। শাড়ি দুইটির দাম কতো? সম্পর্কটা জানা চাই।
উঃ—দুই সতীন।
** একলা তারে যায় না দেখা, সঙ্গী গেলে বাঁচে। আধার দেখে ভয়ে পালায়, আলোয় ফিরে আসে।
উঃ—ছায়া।
** একটুখানি পুস্কনি, পানি টলমল করে। রাজার ছেলের সাধ্য নেই, জাল ফেলতে পারে।
উঃ—চোখ।
** একটি গাছের বাঁট নাই, তবু দুগ্ধ হয় প্রচুর। দোহনকালে থাকে নাকো, তার নিকটে বাছুর।
উঃ—তালগাছ।
** একটি হলে কাজ হবে না, দুটি কিন্তু চাই। দুটি পেলে, হবে চাষী ভাই।
উঃ—বলদ।
** একটি অক্ষর শিক্ষকে আছে, পন্ডিতে নেই। কাননে আছে, বাগানে নেই।
উঃ—ক।
** এতো ভালো বিছানা, কেউ যেন বসে না।
উঃ—পানি।
** এখান থেকে ফেললাম ছুরি, বাঁশ কাটলাম আড়াই কুড়ি। বাঁশের মধ্যে গোটা গোটা, আমার বাড়ী চল্লিশ কোটা। কোঠার উপর কোট জমি, তার মধ্যে আছে এক রাণী।
উঃ—মৌমাছি।
** ওপারেতে বুড়ি মারল, এপারেতে গন্ধ এলো।
উঃ—কাঠাল।
** ওল্টে যদি দাও মোরে হয়ে যাবো লতা। কে আমি ভেবে চিনতে বলে ফেলো তা।
উঃ—তাল।
** কোন ফলের বীজ হয় না, বলো দেখি দাদা, না পারলে লোকে তোমায় বলবে আস্ত গাধা।
উঃ—সবরি কলা।
** কোন সে রসিক চাঁন, নাকে বসে ধরে কান??
উঃ—চশমা।
** কোন শহর খুলতে মানা, তা কি তোমার আছে জানা।
উঃ—খুলনা।
** কোন ফলের উপরটা খাই, ভিতরে তার ফুল, ভাবতে গেলে তার কথা, পণ্ডিতের হয় ভুল?
উঃ—চালতা।
** কোন ফলের বীজ নেই, বল দেখি দাদা। বলতে না পারলে, হবে তুমি গাধা।
উঃ—নারিকেল।
** কোন ব্যাংকে টাকা থাকে না। ধার কখনো পাওয়া যায় না।
উঃ—ব্লাডব্যাংক।
** কোন গাছেতে হয় না ফুল, আছে শুধু গন্ধ। গাছ তলাতে গেলে পরে, সবাই পাবে গন্ধ।
উঃ—চন্দন।
**. কোমর ধরে শুইয়ে দাও, কাজ যা করার করে নাও।
উঃ—শিল নোড়া।
** কোন শহর খুলতে মানা, তা কি তোমার আছে জানা।
উত্তর–খুলনা।
** কোন সে সরস ফল বলো দেখি ভাই ফেলি তার আর্ধ ভাগ, অর্ধাংশ খাই। টক মিষ্টি স্বাদ তার চোখ আগণন বাংলাদেশের সস্তা ফল নাম কত এখন?
উত্তর-আনারস।
** কোন সে বিদেশী ভাষা নাম চার অক্ষরে, দ্বিতীয় কেটে দেখো পানিতে বাস করে?
উত্তর—ইংলিশ।
** কোন টেবিলে পায়া থাকে না, ঝুলে থাকে, ছাড়ায় না?
উত্তরঃ টাইম টেবিল।
** কোন পাখির ডিম নাই, বলো তো দেখি। বলতে না পারলে বুঝবো বুদ্ধি নাই ঘটে।
উত্তরঃ বাদুর।
** কোন ফলের উপরটা খাই, ভিতরে তার ফুল, ভাবতে গেলে তার কথা পণ্ডিতের হয় ভুল?
উত্তরঃ চালতা।
** কোন ফলের বীজ নেই, বল দেখি দাদা। বলতে না পারলে, হবে তুমি গাধা।
উত্তরঃ নারিকেল।
** কোন ব্যাংকে টাকা থাকে না। ধার কখনো পাওয়া যায় না।
উত্তরঃ ব্লাডব্যাংক।
** কোন গাছেতে হয় না ফুল, আছে শুধু গন্ধ। গাছ তলাতে গেলে পরে, সবাই পাবে গন্ধ।
উত্তরঃ চন্দন।
** কোন গাছের পাতায় কাঁটা, মাথায় ঝাঁটা, দেখিতে নিরস, কাটিলে তাহার দেহে পাবে মিষ্টি রস। ছোট ছোট ফলে তার ঝোপে ঝোপে ধরে, কাঁচায় সবুজ, পাকলে লাল ছোটরা আদর করে।
উত্তরঃ খেজুর গাছ।
** কোমর ধরে শুইয়ে দাও, কাজ যা করার করে নাও।
উত্তরঃ শিল নোড়া।
** কেবান সে ফল ভাই, লেজে থাকে দাড়ি? গা কেটে ধরে ফল, খায় নর-নারী।
উত্তরঃ ভুট্টা
** কট কাচারিতে বিচার শুনি, জন্ম আমার বনে। সবাই আমার পেটে বসে, কষ্ট পাই না মনে।
উত্তরঃ চেয়ার।
** কনছেন দেখি, সাদার ভেতর সাদা।
উত্তরঃ ডিম।
** কথা ও ছবি ছায়ায় আসে, দেখে তা কিন্তু সবাই হাসে?
উত্তরঃ টেলিভিশন।
** কদমের ভাই সজন রায়; একশো আটটা জামা গায়। তবু তার সাদ মিটে না, আরো জামা চায়।
উত্তরঃ কলাগাছ।
** কলের মধ্যে পা দিয়েছি, তাইতো আমায় পেলে। বিপদ হলে দোষটা সবাই আমার ঘাড়ে ফেলে।
উত্তরঃ কপাল।
** কনছেন দেখি কোন খানা খাওয়া যায় না?
উত্তরঃ গোসলখানা।
** কনছেন দেখি কোণ বাসা ভাড়া দেওয়া যায় না?
উত্তরঃ ভালবাসা।
** কাঁচাতে তুলতুল, পাকাতে টক। লেংটা হয়ে বাজারে যায়, জিভে আসে পানি।
উত্তরঃ তেঁতুল।
(১) এই ঘরে যাই, ওই ঘরে যাই দুম দুমিয়ে আছায় খাই।
উত্তরঃ ঝাঁটা।
(২) সর্প বটে তার চারটি পা ডিম দেয় না, বাচ্চা দেয়?
উত্তরঃ গুই-সাপ।
(৩) জনম গেল দুখে বুকে আমার আগুন দিয়ে থাকো অনেক সুখে।
উত্তরঃ হুঁকো।
(৪) কাল আমাকে মেরে ছিলে সয়ে ছিলাম আমি আজ আমায় মারো দেখি কেমন বেটা তুমি।
উত্তরঃ মাটির হাড়ি।
(৫) আমার মা যখন যায় তোমার মার পাশে দুই মা হারিয়ে যায় নানার পুত্র হয় শেষে।
উত্তরঃ মামা।
(৬) দুধ দিয়া ফুল সাজে খাইতে অনেক মিঠা লাগে।
উত্তরঃ সন্দেশ।
(৭) কম দিলে যায় না খাওয়া বেশি দিলে বিষ মা বলেছে, বুঝে শুনে তার পরেতে দিস।
উত্তরঃ লবণ।
(৮) চার পায়ে বসে, আট পায়ে চলে রাক্ষস নয়, খোক্ষস নয় আস্ত মানুষ গিলে।
উত্তরঃ পালকি।
(৯) যে মুখে খায়, সেই মুখে হাগে এই প্রাণি নিত্য রাত জাগে।
v উত্তরঃ বাদুর।
(১০) ঢাক গুড় গুড়, ঢাক গুড় গুড় ঢাক গুড় গুড় করে বলপুরেতে আগুন লেগেছে কেউ না নিভাতে পারে।
উত্তরঃ সূর্য।
(১১) হাত দিলে বন্ধ করে সূর্যদোয়ে খোলে ঘোমটা দেওয়া স্বভাব তার মুখ নাহি তোলে।
উত্তরঃ লজ্জাবতী লতা।
(১২) সাগর থেকে জন্ম নিয়ে আকাশে করে বাস মায়ের কোলে ফিরে যেতে জীবন হয় লাশ।
উত্তরঃ মেঘ।
(১৩) এই দেখি এই নাই তার আগে আগুন নাই।
উত্তরঃ বিদ্যুৎ।
(১৪) চক থেকে এলো সাহেব কোট-প্যান্ট পরে কোট-প্যান্ট খোলার পরে চোখ জ্বালা করে।
উত্তরঃ পেঁয়াজ।
(১৫) তি অক্ষরে নাম তার অনেক লোকে খায় মধ্যের অক্ষর বাদ দিলে জিনিস রাখা যায়।
উত্তরঃ তামাক।
(১৬) তেল চুকচুক পাতা ফলের ওপর কাঁটা পাকলে হয় মধুর মতো বিচি গোটা গোটা।
উত্তরঃ কাঁঠাল।
(১৭) তিনটি র্বণে নামটি তার, রসাল এক ফল ছাড়িয়ে মধ্যবর্ণ হয় যে আরেক ফল।
উত্তরঃ কমলা।
(১৮) কাঁচা খাও, পাকা খাও খাইতে রড় মিষ্টি আমি যদি খাইতে বলি চটে গিয়ে করো অনাসৃষ্টি।
উত্তরঃ কলা।
(১৯) উত্তরে চিলের বাসা কোন গাছের ফল কাঁচা।
উত্তরঃ পেস্তাগাছ।
(২০) জলে জন্ম ঘরে বাস, জলেতে পড়লে সর্বনাশ।
উত্তরঃ লবণ।
(২১) বন থেকে বেরুল টিয়ে সোনার টোপর মাথায় দিয়ে।
উত্তরঃ আনারস।
(২২) ঘরের মইধ্যে ঘর নাচে কনে-বর।
উত্তরঃ মশারি।
(২৩) আল বেয়ে যায় সাপ ফিরে ফিরে চায় বাপ।
উত্তরঃ সুঁই-সুতো।
(২৪) রাজা-মন্ত্র্রি-সৈন্য মিলে নৌকা চড়ে যুদ্ধে যায় জীবন তো দূরের কথা, ঢাল-তলোয়ার ছাড়াই কুপকাত।
উত্তরঃ দাবা খেলা।
(২৫) বলো সে কী ফল খেতে বড় বেশ- কলজের মধ্যে থোকা থোকা কমলা বুড়ির কেশ।
উত্তরঃ।
(২৬) মানুষ নয় প্রাণীও নয় পিছে পিছে ঘোরে লাথি দিলে সেও যে লাথি দেয় জোড়ে।
উত্তরঃ ছায়া।
(২৭) হাতি নয় ঘোড়া নয়, মোটা মোটা পা তরু নয়, লতা নয়, ফুলে ভরা গা।
উত্তরঃ পালঙ্ক।
(২৮) তিন অক্ষরের নাম তার বাংলাদেশে নাই প্রথম অক্ষর বাদ দিলে অনেক লোকে খায়।
উত্তরঃ জাপান।
(২৯) অলি অলি পাখিগুলি গলি গলি যায়, সর্ব অঙ্গ ছেড়ে দিয়ে চোখ খুবলে খায়।
উত্তরঃ ধোঁয়া।
(৩০) উড়তে পাখি উনুর ঝুনুর বসতে পাখি ধন্দা আহার করতে যায় পাখি হাত থাকে তার বান্ধা।
উত্তরঃ জাল।
(৩১) হাতে আছে, হাতে নাই হাত বাড়ালে পাবি কই।
উত্তরঃ কনুই।
(৩২) চাই নাকো তবু খাই বেশি খেলে মারা যাই।
উত্তরঃ পিটুনি।
(৩৩) দুই অক্ষরের নাম যার প্রসিদ্ধ একটি গাছ নামটি উল্টে দিলে পুঁতি চারাগাছ।
উত্তরঃ বটগাছ।
(৩৪) সকলের শিরে ধরে নাহি ধরে কেশে হাত নাই, পা নাই বলো ধরে কে সে?
উত্তরঃ মাথাধরা।
(৩৫) সবকিছুই সে পাড়ি দিয়ে যায় নদীর পাড়ে গেলে অমনি থেমে যায়।
উত্তরঃ রাস্তা।
(৩৬) গায়েতে কন্টকাবৃত সজারু সে নয় মানুষে পেলে গন্ধ তখনি ছেদ হয়।
উত্তরঃ কাঠাল।
(৩৭) আহার্য নয় তবু খায় সর্বজন, অনিচ্ছাতে বাধ্য হয়, করিতে ভক্ষণ।
উত্তরঃ আছাড়।
(৩৮) জলে রই স্থলে রই জল বিনা কিছু নয়।
উত্তরঃ বরফ।
(৩৯) লাল বরণ, ছয় চরণ, পেট কাটলে হাঁটে, মূর্খ লোকে বলবে কিসে পন্ডিতের শির ফাটে।
উত্তরঃ ডাস পিঁপড়া।
(৪০) তিন বীর রারো শির বত্রিশ লোচন, ভূমিতে পড়িয়া বীর করে মহারণ।
উত্তরঃ পাশার ঘুঁটি
(৪১) ভন্ ভন্ করে তবু ভোমরা নয় গলায় পৈতা তার বামুন তবু যে নয়।
উত্তরঃ।
(৪২) কাঁটা ভরা অঙ্গ তার, সুদীর্ঘ আকার প্রাণ আছে, শিরে কেশের সম্ভার জিহবার আগে মধু, বিন্দু বিন্দু ঝরে জুড়ায় রসনাখানি, পান করে তারে।
উত্তরঃ খেঁজুর গাছ।
(৪৩) একটুখানি ঘরে চুনকাম করে
উত্তরঃ ডিম।
(৪৪) ভয়ঙ্কর পথিক সে সকলে যে ডরায় খানিক পরে কাঁদিয়া সাগর সে ভাসায়।
উত্তরঃ বৃষ্টি।
(৪৫) একটুখানি পুষ্পরিনী টলমল করে, একটুখানি কুটা পাড়লে সর্বনাশ করে।
উত্তরঃ চোখ।
(৪৬) আাঁধার পুকুর, গড়ান মাঠ, বত্রিশ কলাগাছ, একখানি পাট।
উত্তরঃ দাঁত ও জিহবা।
(৪৭) ছোট ছোট গাছখানি তার কত ফল ধরে একটা যদি খায় তবে আহা-উহু করে।
উত্তরঃ বোম্বাই মরিচ।
(৪৮) আমারও নাই, তোমারও নাই, আমরা কে তা বোঝ নাই
উত্তরঃ মানুষ।
(৪৯) হাত পা তার ইটের সমান অতি পুরু ছাল, পেটে দিলে তাকে বাড়ে অনেক মান
উত্তরঃ গম গাছ।
(৫০) এই পাড়ে খাগড়া ওই পাড়ে খাগড়া কখনও মিলেমিশে কখনও বা ঝগড়া
উত্তরঃ চোখের পাতা।
(৫১) আট পা আঠারো হাঁটু জাল ফেলিয়া মরা ঠেঁটু শুকনায় ফেলিয়া জাল গাছে উঠিয়া নিল ফাল
উত্তরঃ মাকড়শা।
(৫২) বিনা দুধে হইছে দই এমন কুমার পাব কই।
উত্তরঃ চুন।
(৫৩) লাঠির মত গাছে সোনার ফল নাচে।
উত্তরঃ ভুট্টা গাছ।
(৫৪) একই মায়ের সন্তান মোরা আমি তাকে ভাই বলি সে আমায় বলে না ভাই বলুনতো কি সম্পর্ক তাই।
উত্তরঃ ভাইবোন।
(৫৫) উঠান ঠন ঠন, বাড়িতে নাই খাই বস্তুর বাকল নাই।
উত্তরঃ লবণ।
(৫৬) এ পাড়ে বুড়ি মরল ও পারে গন্ধ ছাড়ল।
উত্তরঃ কাঁঠাল।
(৫৭) ঝাপাট জঙ্গল খেকে বের হলো সাপ ডিম পাড়ে কাপ কাপ।
উত্তরঃ বেতফুল।
(৫৮) থাল ঝনঝন, থাল ঝনঝন থাল নিল চোরে, বৃন্দাবনে লাগলো আগুন কে নিভাইতে পারে।
উত্তরঃ রোদ।
(৫৯) বৃক্ষ এক হইছে যে মাঠের উপর ডালে ডালে পুষ্প তার, ফুটিছে বিস্তর যৌবনকালেতে তারে সর্বলোকে খায়, হেমন্তে জন্ম তার, বসন্তে মরে যায়।
উত্তরঃ সরিষা ফুল।
(৬০) এই দেখলাম এই নাই কী বলব সবই রাজার ঠাঁয়।
উত্তরঃ বিদ্যুৎ।
(৬১) উপর থেকে পরলো বুড়ি হাত-পা তার আঠার কুঁড়ি।
উত্তরঃ কেল্লা।
(৬২) দুই অক্ষরে নাম যায় সবদেশেতে রয় সর্বদেশেই তার সুনাম দুর্নাম স্বাক্ষ্য হয়ে রয়।
উত্তরঃ নদী।
(৬৩) এক না জামিরের গাছ টোকা দিলে পরে রস।
উত্তরঃ চোখ।
(৬৪) এমন একটি ফুল যে হয় উল্টা-পাল্টা যা-ই করি একই নাম হয়।
উত্তরঃ লিলি ফুল।
(৬৫) একটু খানি গাছে রাঙ্গা বউটি নাচে।
উত্তরঃ পাকা মরিচ।
(৬৬) জমিন থেকে বেরুল টিয়ে লাল টুপি মাথায় দিয়ে।
উত্তরঃ পেঁয়াজ।
(৬৭) ঝাড়ের থেকে এলো খোজা পিছনে লাঠি, মাথায় বোঝা।
উত্তরঃ আনারস।।
(৬৮) আল্লাহর কি কুদরত লাঠির মাঝে শরবত।
উত্তরঃ আখ।
(৬৯) রাজার বাড়ির ছুড়ি এক বিয়ানেই বুড়ি।
উত্তরঃ কলাগাছ।
(৭০) আকাশে টিরিবিরি চৌড়ালে বাসা আহারে খাইলো ছা এ কেমন তামাশা।
উত্তরঃ বাজপাখি।
(৭১) আকাশের সমান দড়া বিনি কুমারের হাঁড়া বিনি কুমারের দই এমন গয়না কই।
উত্তরঃ ডাব।
(৭২) পাতাটি ঢোলা, ফলটি কুঁজো হয় তাতে দেবতার পূজো।
উত্তরঃ কলা।
(৭৩) খড়িতে জড়াজড়ি, ফলে অধিবাস ফুল নাই ফল নাই, ধরে বারো মাস।
উত্তরঃ পান।
(৭৪) হরি হরি দন্ড, ছিরি ছিরি পাত, মাণিক দন্ড, য়োলখানি হাত।
উত্তরঃ সুপারী গাছ।
(৭৫) উঠান ঠন্ ঠন্ বৈঠক মাটি মা গর্ভবতী, পুতে ধরছে ছাতি।
উত্তরঃ সুপারী গাছ।
(৭৬) এ পাড় মালসা, ও পাড় মালসা মধ্যখানে লাল তামসা।
উত্তরঃ মসুরডাল।
(৭৭) এক গাছে তিন তরকারী দাঁড়িয়ে আছে লালরিহারী।
উত্তরঃ সজনে।
(৭৮) হেতা দিলাম থান হয়ে গেল লতা ফুল নাই, ফল নাই সবই তার পাতা।
উত্তরঃ পান।
(৭৯) গা করে তার খসর মসর পাত করে তার ফেনী ফুল করে তার লাল তামাসা ফল করে কুস্তনি।
উত্তরঃ শিমূল।
(৮০) ছিটকিরি ছিটকিরি পাতা বত্রিশ ডালে বাঁকা দেখতে সুন্দর খাইতে মিষ্টি মাণিক মুক্তো করছে বৃষ্টি।
উত্তরঃ।
(৮১) কাঁচাতে যেই ফল সর্বজনে খায়, পাঁকলে সেই ফল গড়াগড়ি যায়।
উত্তরঃ ডুমুর।
(৮২) তলে মাটি উপরে মাটি তার মধ্যে সুন্দর বেটি।
উত্তরঃ হলুদ।
(৮৩) কুল কুল কুলেরি ভাদ্র মাসে ধুলোরি কাঁচায় পাকায় সবাই খায় নেংটো হয়ে হাটে যায়।
উত্তরঃ তেঁতুল।
(৮৪) রাজার বেটা রাম দাস খায় খোলা তার ফেলায় শাঁস।
উত্তরঃ চালতা।
(৮৫) ইকরের তলে তলে ভিকমতির ছানি, কোন দেশে দেখিয়াছ গাছের আগায় পানি।
উত্তরঃ নারিকেল।
(৮৬) হাতির দাঁত, কদম্বের পাত হয় শুধু ফুল খাও বসে মূল
উত্তরঃ মূলা।
(৮৭) এক থালা সুপারী গণিতে পারে কোন ব্যাপারী।
উত্তরঃ আকাশের তারা।
(৮৮) সফেদ শয্যা পড়ে আছে কেউ তাতে না শোয়, ভিতর থেকে খোলাম কুচি আঙিনাতে থোয়
উত্তরঃ সমুদ্র।
(৮৯) সকালে চার পায়ে হাঁটে দুপুরে দুই পায়ে, সন্ধায় তিন পায়ে হাঁটে বলো তো কে যায়?
উত্তরঃ মানুষ।
(৯০) ইটে গুরুগুরু, বৈঠা নাগর বিনা বৈঠায় বায় সে সাগর।
উত্তরঃ কচ্ছপ।
(৯১) জ্বলছে তবু পুড়ছে না কোন সে প্রানী বলো তা।
উত্তরঃ জোনাকী।
(৯২) টুক্কা দিলে টাকাটা লাল শাকের ঐ ডাঁটাটা।
উত্তরঃ কেন্নো।
(৯৩) হাড়গোড় নেই কেবল মাসে। কালা কুচু জলে ভাসে।
উত্তরঃ জোঁক।
(৯৪) ছোট কালে লেজ হয় বড় কালে খসে বাঘের মত লাফ দেয় কুকেুরের মত বসে।
উত্তরঃ ব্যাঙ্গ।
(৯৫) নেই পা, চলছে চাকা তবু তারা দুই ভাই চলছে কেবল শব্দ নাহি কভু।
উত্তরঃ দিনরাত্রি।
(৯৬) একটুখানি জলে মাছ কিলবিল করে কারো বাবার সাধ্য নাই হাত দিয়ে তায় ধরে।
উত্তরঃ ফুটন্ত ভাত।
(৯৭) মেটো গোয়াল, কাঠের গাই বাঁছুর ছাড়াই দুধ পাই।
উত্তরঃ খেঁজুর গাছ।
(৯৮) দেয়াল আছে, ছাদও আছে এমন এক ঘর ভিতর তার প্রবেশ করার একটাও নেই দ্বার।
উত্তরঃ মশারি।
(৯৯) লেজ, মাথা, পাখা আছে পাখি তবুও নয়, ডানা তার মেলে দিয়ে উড়ে চলে যায়।
উত্তরঃ উড়োজাহাজ।
(১০০) সারা মাথায় পক্ক কেশ মাথার ঘিলু খেতে বেশ।
উত্তরঃ তালের আঁটি।
(১০১) লাল টুকটুক ছোটমামা গায়ে পরে অনেক জামা।
উত্তরঃ পেঁয়াজ।।
(১০২) যমজ ভাই যায় আসে একবার গিয়ে না ফিরলে ধরেতে না প্রাণ থাকে।
উত্তরঃ শ্বাস-প্রশ্বাস।
(১০৩) ছোট্ট একটা ঘরে, পঞ্চাশ টুপি পরা সৈনিক বাস করে।
উত্তরঃ দেশলাই।
(১০৪) এরা বাপ বেটা ওরা বাপ বেটা আমতলা দিয়ে যায়, তিন খানা পাকা আম পেড়ে নিয়ে সমান ভাগেতে খায়।
উত্তরঃ বাপ-ছেলে-নাপিত।
(১০৫) কাঁচায় তুলতুলে পাকায় সিঁদূর যে না বলতে পারে সে ধেড়ে ইঁদুর।
উত্তরঃ মাটির হাঁড়ি।
(১০৬) চার রূপসী চার রং মিলন হলে এক রং।
উত্তরঃ পান-চুন-খয়ের-সুপারী।
(১০৭) জন্ম দিয়ে মা কাহার ফেলিয়া পালালো, পাড়া প্রতিবেশী বুঝি তাহারে পালিলো।
উত্তরঃ কোকিল।
(১০৮) অষ্ট চরণ য়োল হাঁটু মাছ ধরতে যায় লাটু শুকনো ডাঙায় পেতে জাল শিকার ধরে চিরকাল।
উত্তরঃ মাকড়সা।
(১০৯) পিতার আদেশ পেয়ে কোন যোগীবরে জননীর মাথা কাটে ভুমিতলে পাড়ে কী তাহার নাম বল শাস্ত্রে আছে লেখা বলতে কি পারো তার নাম আছে শেখা।
উত্তরঃ পরশুরাম।
(১১০) মন দিয়ে শোনা সবে কালিদাসের ছন্দ হাজার দুয়ারী ঘরে স্বামী স্ত্রীতে বন্ধ।
উত্তরঃ মশারি।
(১১১) চারি দিকে কাঁটা বেত মাথায় মুকুট খান সাহেব।
উত্তরঃ আনারস।
(১১২) সুখাদ্য মোটেও না তবু লোকে খায় হুমড়ি খেয়ে অসর্তকে পড়ি এ ধরায় বৃদ্ধরা খায় যদি, করে হায় হায় যুবকে খেলে পরে লাজে মরে যায়।
উত্তরঃ আছার।
(১১৩) ওপার থেকে এলো বুড়ি সাদা কাপড় পরে মহানন্দে বসল খেতে ঘাড় নেড়ে নেড়ে।
উত্তরঃ বক।
(১১৪) কোন দেশ ঝোলে গাছে কোন দেশ বাজে কোন দেশ বলো দেখি তেল ঘিতে ভাজে।
উত্তরঃ মরিচ, কাশী, পুরী।
(১১৫) চৌদ্দ পুরুষ ডাকছে ‘মামা’ আমিও তাই ডাকি সকলেরই মামা তিনি নাম তার কি জানি?
উত্তরঃ চাঁদ-সূর্য।
(১১৬) কোন ফলের বীজ নাই বল দেখি দাদা বলতে যদি না পারো তো বুঝবো তুমি হাঁদা।
উত্তরঃ নারিকেল।
(১১৭) এ হে হে হে হে তোমার গা ছুঁয়ে গেল কে? বুজতে পারলে বলুন কে সে?
উত্তরঃ বাতাস।
(১১৮) পানির জন্তু নয় তবুও পানিতেই বাস করে হাত নেই পা নেই তবু সাঁতার কাটে।
উত্তরঃ নৌকা।
(১১৯) তিন অক্ষরে নাম যার সবার ঘরে রয় প্রথম অক্ষর বাদ দিলে সর্ব লোকে খায়। পেট তার কেটে দিলে মধুর গান গায় শেষ অক্ষর বাদ দিলে খুব কামরায়
উত্তরঃ বিছানা।
(১২০) বলুনতো এমন কোন সে বস্তু পৃথিবীতে নেই তোমার আমার মুখের কথায় তবু আছে সে-ই।
উত্তরঃ ঘোড়ার ডিম।
(১২১) দু’অক্ষরে নাম তার বহু লোকে খায় শেষের অক্ষর বাদ দিলে হেঁটে চলে যায়।
উত্তরঃ পান।
(১২২) তিন অক্ষরে নাম ব্যঞ্জনে দেয় তাহার প্রভাবে আহা, স্বাদ ভালো হয়। মাথা কেটে গেলে সে যে গণ্য হবে কাঠি পেট কেটে ময়লা সে, নয় পরিপাটি।
উত্তরঃ মশলা।
(১২৩) দু’অক্ষরে নাম লজ্জা নিবারণী প্রথম অক্ষর বাদ দিলে হয় আমার জননী শেষের অক্ষর বাদ দিলে ভাশুর ঘরণী।
উত্তরঃ জামা।
(১২৪) আগে যায় ফিরে চায় ওটি তোমার কে ওর শ্বশুরকে আমার শ্বশুর বাবা বলেছে।
উত্তরঃ।
(১২৫) কৃষ্ণবর্ণ তণুখান গুটি ছয় পা চুপচাপ রক্ত খায় নাহি কাটে রা।
উত্তরঃ উকুন।
(১২৬) প্রাণ নেই বন্ধু নয়, চলে সাথে সাথে আলো পেলে তবে চলে দিনে কিংবা রাতে।
উত্তরঃ ছায়া।
(১২৭) তিন অক্ষরে নাম তার প্রতি ঘরে পাবে অধ্যক্ষর বাদ দিলে বৎসর বুঝাবে মধ্য অক্ষর গেলে সবার ক্ষতি করে শেষের অক্ষর গেলে সবাই অবস্থান করে।
উত্তরঃ বাসন।
(১২৮) দুই অক্ষরের নাম যার সব যায়গায় রায় প্রথম অক্ষর বাদ দিলে খাবার জিনিস হয়, শেষের অক্ষর বাদ দিলে আপনজন হয়।
উত্তরঃ মাটি।
(১২৯) দু’অক্ষরের নাম তার সবার ঘরে রয় প্রথম অক্ষর বাদ দিলে খাবার জিনিস হয় শেষের অক্ষর বাদ দিলে জন্মদাতা হয়।
উত্তরঃ।
(১৩০) তিন অক্ষরে নাম তার মেয়েরা গায়ে মাখে প্রথম অক্ষর বাদ দিলে গাছ বেয়ে উঠে মাঝের অক্ষর বাদ দিলে গাছে ফলে থাকে। শেষের অক্ষর বাদ দিলে হাঁটার পথ থাকে।
উত্তরঃ আলতা।
(১৩১) বলতে পার কোন সে দেশ সূর্য উঠে না কোন সে দেশে জলও নাই মানুষ থাকে না।
উত্তরঃ সন্দেশ।
(১৩২) তিন অক্ষর নাম, বাঙ্গালীরা খায় মাঝের অক্ষর গেলেও একই জিনিস হয়, প্রথম অক্ষর বাদ দিলে শীত পোশাক হয় শেষের অক্ষর বাদ দিলে চীনের খাদ্য হয়।
উত্তরঃ চাউল।
(১৩৩) প্রাণীর দেহে থাকলে যা শেষ অক্ষর বাদ দিলেও তা মাথা কাটলে প্রাণহীন কি এ জিনিসটা?
উত্তরঃ চামড়া।
(১৩৪) হাত নেই পা নেই মুরো লেজ আছে যেখানে সেখানে ছোটে জলে মাঠে গাছে।
উত্তরঃ সাপ।
(১৩৫) একদন্ত তবুও গণপতি নয় অতি বড় বপু তাতে প্রাণ নাহি রয় দুটি হাত পাতালের গভিরে তাহার কে বলিতে পারে এই হেঁয়ালির সার।
উত্তরঃ ঢেঁকি।
(১৩৬) যা দিবে তাই খাবে পানি দিলে মরে যাবে।
উত্তরঃ চুলা।
(১৩৭) তোমার ঘরে আমার ঘরে সবার ঘরে রয় প্রথম অক্ষর বাদ দিলে পানির রাস্তা হয় শেষের অক্ষর বাদ দিলে সবাই জ্ঞাত হয়। পেট কাটলে সবাই অস্থিত হয়। বলুনতো দিকি তা কি হয়?
উত্তরঃ জানালা।
(১৩৮) পেট ভরে না তবু খায় সর্ব প্রাণি প্রথম অক্ষর বাদ দিলে খেলার নাম হয়।
উত্তরঃ বাতাস।
(১৩৯) কোন সে গাছের নাম বল তুমি শুনি প্রথম অক্ষর বাদ দিলে বলে কথা গণি মাঝের অক্ষর বাদ দিলে ব্যবহার করে নারী।
উত্তরঃ বাবলা।
(১৪০) তিন অক্ষরে বর্ষা কি এলো মাথা কেটে কত লোক সারি বসে গেল পা কেটে চলে যায় বাতিলের দলে ঘনছায়া, সূর্যকে কিসে দেয় ঢেকে।
উত্তরঃ বাদল।
(১৪১) সাবান সোডা মাজন দিয়েও ময়লা নাহি যায় তিন অক্ষরে তারে ছাড়া রন্ধনে সংশয় হয়।
উত্তরঃ কয়লা।
(১৪২) মার্জনা করি আমি যত মলিনতা একশটি ভাই মিলে বোঝায় একতা। নারীর হাত থাকি আমি এত সম্মান তবুও শ্রদ্ধাহীন, কী আমার নাম?
উত্তরঃ ঝাঁটা।
(১৪৩) কোথাও কোন জল দেখিনা মাঠের মাঝে জল চার অক্ষরের নাম তার কী এমন সে ফল?
উত্তরঃ তরমুজ।
(১৪৪) দিতে যদি দিতে হয় শ্বশুরকুলে দিই আর যদি দিতে হয় পরপুরুষে দিই বাপের ঘরে দেব কারে, লজ্জা করে ছিঃ তুমি আমার আমি তোমার তোমায় দেব কি?
উত্তরঃ ঘোমটা।
(১৪৫) বনের মাঝে আলো করা সুন্দর সে টিয়া সোনার মুকুট মাথায় দিয়ে এলো বাহিরিয়া।
উত্তরঃ আনারস।
(১৪৬) এখান থেকে দিলাম বৃষ্টি ঐ গাছটি বড়ই মিষ্টি
উত্তরঃ আখ গাছ।
(১৪৭) আ-কার ই-কার হীন বলো কোন গ্রাম মোয়া হতে বল সোনা সেই গ্রামের নাম।
উত্তরঃ জয়নগর।
(১৪৮) ওপর থেকে পড়ল ছুরি ছুরি বলছে ঘুরে পড়ি।
উত্তরঃ বাঁশপাতা।
(১৪৯) গণপতি নয় তবে সেও গুণধর একদন্ড বলা যায় লম্বা দেহ ধর।
উত্তরঃ ঢেঁকি।
(১৫০) হাত নেই পা নেই সব মানুষকে ধরে প্রভাবে কাতর হয় মাথা নুয়ে পড়ে।
উত্তরঃ মাথা ধরা ।
(১৫১) বাঁদিক পাবে পেটটি কেটে কাটলে মাথা -মূল্য তিন অক্ষরের প্রিয় খাবার নেই কিছু তার তুল্য
উত্তরঃ বাদাম।
(১৫২) তিন অক্ষরে নাম, কাঁচায় পাকায় খায় প্রথম অক্ষর বাদ দিলে প্রাণটা চলে যায়, শেষ অক্ষর বাদ দিলে মিষ্টি সে ফল ঝটপট এখন আমায় নামটা খুলে বল
উত্তরঃ আমড়া।
(১৫৩) এমন একটি সুন্দর ফল উপরে তার ফিটফাট ভিতরে তার সদরঘাট।
উত্তরঃ মাকাল ফল।
(১৫৪) তিন অক্ষরে প্রাণী জলের পেট কাটলে নারীর গলে।
উত্তরঃ হাঙর।
(১৫৫) বলছো দুবার দাম ছুটছে নাকি ঘাম।
উত্তরঃ দরদর।
(১৫৬) ছোট ছোট বেনো বনে কত হরিণ চড়ে দশ শিকারীর দল খোঁজে তায় দুই শিকারী মারে।
উত্তরঃ উকুন।
(১৫৭) মা মেয়েতে একই সাথে নদীতে নাও বাইতে থাকে।
উত্তরঃ মাঝি (মা+ঝি)।
(১৫৮) এক ঠোঙা, ফুল ওঠে মাথা বেঁকে থাকে রোদে পোড়ে জলে ভিজে চেন নাকি তারে।
উত্তরঃ ছাতা।
(১৫৯) পাঁচ মেয়েকে তুলে দিল বত্রিশ জনের ঘাড়ে দূরে ছিল কর্তা-দিদা টেনে নিল ঘরে।
উত্তরঃ খাবার খাওয়া।
(১৬০) ডগায় খসখসে গোড়ায় মধু বলতে না পারে যে সে এক ভোঁদু।
উত্তরঃ আখ।
(১৬১) হাত নেই পা নেই তবু সে চলে অনাহরে মরে মানুষ এর অভাব হলে।
উত্তরঃ টাকা।
(১৬২) শীত কালে যার নেইকো মান গ্রীষ্ম কালে পায় সু-সম্মান।
উত্তরঃ পাখা।
(১৬৩) জন্মে ছিল ফর্সা সাদা কাজের জন্য কালো এক ডুব খায় এক গাদা মাছ নামটি তাহার বল।
উত্তরঃ জাল।
(১৬৪) কেমন স্বভাব তোর এ কেমন ধারা রাত্রে থাকিলে শুয়ে দিনে র’লি খাড়া।
উত্তরঃ মাদুর।
(১৬৫) বর্ষাকালে তিন অক্ষরে আয়েশ করে খায় কাটলে মাথা সুন্দরীদের হাতে উঠে যায়।
উত্তরঃ খিচুড়ি।
(১৬৬) এক দাঁড়া, বারো পা বলো কার আছে বাস করে জলে আর ডিম পাড়ে গাছে।
উত্তরঃ চিংড়ি।
(১৬৭) চলতে চলতে খসলো শির মাথা কাটলে চললো ফির।
উত্তরঃ পেন্সিল।
(১৬৮) গাছ নেই, শুধু পাতা মুখ নেই, কত কথা জীবন সঙ্গী করো যদিও পাও তার দেখা।
উত্তরঃ বই।
(১৬৯) হাত নেই পা নেই নেইকো আকার জীবন ধারণে এর জুড়ি মেলা ভার
উত্তরঃ।
(১৭০) জলে থাকে তবু মাছ নয় মাছ বলে বাজারে বিক্রি হয়।
উত্তরঃ চিংড়িমাছ।
(১৭১) শৈশবে সে বস্ত্রধারী যৌবনে উলঙ্গ বৃদ্ধকালে দাড়ির জটা মাঝখানে সুরঙ্গ।
উত্তরঃ বাঁশ।
(১৭২) ঘর সে এমন নেই দুয়ার মাটি চাপা ছাদের পর নিঃশব্দে মানুষ বাস যায়না আলো, নেই বাতাস।
উত্তরঃ কবর।
(১৭৩) সন্ধায় জন্মায় প্রভাতেই মৃত মাথারে উপরে সে বিরাজমান যেন মনিকণা আহা শুভ্র বরণ চলে এক গতি পথে বল কোন জন।
উত্তরঃ।
(১৭৪) তিন অক্ষরের এমন দেশ পেট কাটলে খাই যে বেশ।
উত্তরঃ আসাম।
(১৭৫) সাজালে সাজে বাজালে বাজে রান্নায়ও সে কাজের। বলো কি সে?
উত্তরঃ মাটির হাঁড়ি।
(১৭৬) চোখ বড়, দীর্ঘ কেশ একটা দাঁড়া, শক্ত বেশ জলের পোকা বলতো কে কদর তার বিদেশে।
উত্তরঃ গলদা চিংড়ি।
(১৭৭) শৈশবে কেলে পানা যৌবনে লাল অবশেষে সাদা রং কার এমন হাল।
উত্তরঃ কয়লা।
(১৭৮) এক চাকার এমন চক্কর ভাঙলে ফুঁড়ে ছপ্পরা।
উত্তরঃ টাকা।
(১৭৯) নাকের ডগায় পৈতে আটকান চৈতনে মার টান গলায় ধরে দাও পটকান ঘুরতে থাকে ঘ্যানের ঘ্যান।
উত্তরঃ লাট্টু।
(১৮০) বারো মাসের কচি মেয়ে তেরো মাসে পড়ে ডাইনে বাঁয়ে গন্ডা গন্ডা ছেলে প্রসব করে।
উত্তরঃ কলা গাছ।
(১৮১) একটি পরিবারে মা-বাবা ও তাদর ৭জন ছেলে আছে॥ প্রত্যেক ছেলের একটি করে বোন আছে॥ ওই পরিবারে মোট সদস্য সংখ্যা কত??
উত্তরঃ ১০ জন।
(১৮২) গরমও নয়, ঠান্ডাও নয়, তবুও সেটা ফু দিয়ে খাই। বলুন তো এটার উত্তর কি ?
উত্তরঃ বাদাম।
(১৮৩) শেষ পাতে জবাব নেই, উৎসবে মনে পড়বেই। শুভ কাজের শুরুতে হবে, তোমার মুখের প্রশংসায় ও পাবে?
উত্তরঃ মিষ্টি।
(১৮৪) হাত আছে পা নাই, বুক তার কাটা। আস্ত মানুষ গিলে খায়, মাথা তার কাটা।
উত্তরঃ সার্ট।
(১৮৫) হাঁস, মুরগি, কবুতর ডিম দেয় আর গরু, ছাগল, মহিষ দুধ দেয়। বলতে হবে এমনকে আছে যে দুধ ও ডিম দুটোয় দিতে পারে?
উত্তরঃ দোকানদ্বার।
(১৮৬) কালিদাস পণ্ডিতে কয় বাল্যকালের কথা, নয় হাজার তেঁতুল গাছে কয় হাজার পাতা।
উত্তরঃ আঠার হাজার পাতা।
(১৮৭) শুইতে গেলে দিতে হয়, না দিলে ক্ষতি হয়, কালিদাস পন্ডিত কয় যাহা বুঝেছ তাহা নয়।
v উত্তরঃ দরজার খিল।
(১৮৮) চক থেকে এল সাহেব কোর্ট প্যান্ট পরে, কোর্ট প্যান্ট খোলার পরে চোখ জ্বালা করে।
উত্তরঃ পেঁয়াজ।
(১৮৯) পোলা কালে বস্ত্রধারী যৌবনে উলঙ্গ, বৃদ্বকালে জটাধারী মাঝখানে সুড়ঙ্গ।
উত্তরঃ বাঁশ।
(১৯০) বাঘের মত লাফ দেয়, কুকুর হয়ে বসে, পানির মধ্যে ছেড়ে দিলে সোলা হয়ে ভাসে।
উত্তরঃ ব্যাঙ।
(১৯১) হাসিতে হাসিতে যায় নারী পর পুরুষের কাছে, যাইবার সময় কান্নাকাটি ভিতরে গেলে হাসে।
উত্তরঃ মেয়েদের হাতের চুঁড়ি।
(১৯২) আমি তুমি একজন দেখিতে এক রুপ, আমি কত কথা কই তুমি কেন থাক চুপ।
উত্তরঃ নিজের ছবি।
(১৯৩) কালিদাস পন্ডিতের ফাঁকি, আড়াইশ থেকে পাঁচ পঞ্চাশ গেলে আর কত থাকে বাকী।
উত্তরঃ কিছুই না, শূন্য।
(১৯৪) শোন ভাই কালিদাসের হেয়ালীর ছন্দ, দরজা আছে হাজারটা তবু কেন বন্ধ।
উত্তরঃ মশারী।
(১৯৫) শুভ্রবাসান দেহ তার, করে মানুষের অপকার। চিতায় তারে পুড়িয়া মারে, তবু সে উহ আহ না করে।
উত্তরঃ সিগারেট।
(১৯৬) জলেতে জন্ম যার, জলে ঘর বাড়ী ফকির নহে, ওঝা নহে, মুখেতে দাড়ী।
উত্তরঃ কচুরি পানা।
(১৯৭) দিন রাত ছলি ফিরি নাহি মোর অবসর দিন যায় মাস যায়, যায় চলে বছর।
উত্তরঃ ঘড়ি।
(১৯৮) চার পায়ে বসি, আট পায়ে চলি বাঘ নয়, ভালুক নয়, আস্ত মানুষ গিলি।
উত্তরঃ পালকি।
(১৯৯) আম নয়, জাম নয়, গাছে নাহি ফলে তবু সবাই তারে ফল নাম বলে।
উত্তরঃ পরীক্ষার ফল।
(২০০) হাত নাই, পা নাই, এ কেমন রসিক নাগর আনায়েসে পার হয় নদী কিংবা সাগর।
উত্তরঃ নৌকা/জাহাজ।
(২০১) মাথা ছোঁটে ‘ছিল’ তার পেট কাটা ‘মিল’ গোটা নিয়ে হেঁটে হেঁটে খোলে পায়ের খিল।
উত্তরঃ মিছিল।
(২০২) পেটটা ফেলে অল্প পেলে পা গেলে পাও যন্ত্র তিন অক্ষরে সবটা লেখায় এমন ষড়যন্ত্র।
উত্তরঃ কলম।
(২০৩) শুরুতে বারণ কর মাথা ছাড়া চলতে বল দু’অক্ষরে সব মিলিয়ে থামবো কোথায় সময়টা বল।
উত্তরঃ নাচ।
(২০৪) মাথা কাটলে যেটুকু পেলে পেট কাটলেও তাই তিন অক্ষরে রাতের বেলা পাহাড়া দিয়ে যাই।
উত্তরঃ কুকুর।
(২০৫) রান্না করতে লাগে এটা পেট কাটলে অন্য কাটলে মাথা নেই দোষ, তিন অক্ষরে গণ্য।
উত্তরঃ আগুন।
(২০৬) ওড়ে তবু পাখি নয় নামখানি কী তার চোখ নেই তাই কানে শুনেই খোঁজে বাহির-দ্বার।
উত্তরঃ বাঁদুর।
(২০৭) কচুরও হয়, কানেরও হয় কোন সে জিনিসটি উলটে পাবে শষ্যদানা নামটি বল কী?
উত্তরঃ লতি।
(২০৮) বলেনতো একজন নারী কি করে ৩০ দিন না ঘুমিয়ে কাটাতে পারে?
উত্তরঃ রাতে ঘুমিয়ে।
(২০৯) বলেনতো নেপোলিয়ান কোন যুদ্ধে মারা গিয়েছিল।
উত্তরঃ তার জীবনের শেষ যুদ্ধে।
(২১০) বলেনতো বিশ্বের সমস্ত দেশের স্বাধীনতার সাক্ষর কোথায় হয়েছিল?
উত্তরঃ চুক্তি পত্রের শেষ পাতার নিচের অংশে।
(২১১) ১০ জন মানুষ ১০ ঘন্টায় ইট দিয়ে একটি দেয়াল তৈরি করল, ঐ দেয়ালটি চার জন মানুষের তৈরি করতে কত সময় লাগবে?
উত্তরঃ কোন সময়ই লাগবে না, কারণ দেয়ালটি অলরেডি তৈরি আছে।
(২১২) How Can you lift an elephant with one hand?
উত্তরঃ You can never find an elephant that has one hand.
(২১৩) একটি অর্ধেক আপেল দেখতে ঠিক কিসের মত?
উত্তরঃ ঠিক একেবারে আপেলের বাকি অর্ধেকের মত….।
(২১৪) ব্রেকফাস্টে আপনি কি কখনো খেতে পারবেন না?
উত্তরঃ লাঞ্চ এবং ডিনার।
(২১৫) যদি আপনার এক হাতে তিনটি আপেল ও চারটি কমলা এবং অপর হাতে চারটি আপেল ও তিনটি কমলা থাকে তবে কি বুঝতে হবে?
উত্তরঃ বুঝতে হবে আপনার হাত অনেক বড়।
(২১৬) কি করে একটি কাচা ডিমকে না ভেংগে কংক্রিটের ফ্লোরে ফেলতে পারবেন?
উত্তরঃ আপনি যে ভাবে ইচ্ছে ফেলতে পারেন, কেননা ডিম যেভাবেই পরুক কংক্রিটের ফ্লোর কখনো ভাংবে না।
(২১৭) সুপারম্যান খ্যাত অভিনেতা ক্রিস্টোফার রীভকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল -সুপারম্যান আর জেন্টেলম্যান এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ তিনি গম্ভীর মুখে উত্তর দিলেন- সহজ পার্থক্য। জেন্টেলম্যানরা আন্ডারঅয়্যার পরে প্যান্টের নিচে আর সুপারম্যান পরে ওপরে।
(২১৮) কোন প্রানীর বুদ্ধি সবচেয়ে উঁচুতে ?
উত্তরঃ জিরাফ।
(২১৯) অষ্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের আগে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ কোনটি ছিল?
উত্তরঃ অস্ট্রেলিয়া।
(২২০) মানুষ রাতে কেন বিছানায় যায়?
উত্তরঃ কারন রাতে বিছানা তার কাছে আসে না।
(২২১) মাথা কাটলে যুদ্ধ হয় লেজ মুড়োলে শাপ কী দেয়? সবটা মিলে জীবণ শেষ তিন অক্ষরের এই আদেশ।
উত্তরঃ।
(২২২) মাথা কেটে ফেলছে ফাঁদ সিক্ত কেটে চরণ তিন অক্ষরের আসল কোথায় নকল যে, আ মরণ।
উত্তরঃ ভেজাল।
(২২৩) মৃত দেহ মুন্ডু ছাড়া পেয়ে ছিলাম শিশুকালে আবার পাওয়া শক্ত।
উত্তরঃ শৈশব।
(২২৪) ডানা ছাড়া উরে চলে মুখ ছাড়া ডাকে কুব চিড়ে আলো দিয়ে বল তো কে হাঁকে।
উত্তরঃ মেঘ।
(২২৫) বিবাদেও থাকে মান কি পাখির ভাই প্রাণ দিয়ে ওড়ে তবু তার প্রাণ নাই।
উত্তরঃ বিমান।
(২২৬) গোরুর পিছনে রাখলে পন জানতে পারে না জগৎজন।
উত্তরঃ গোপন।
(২২৭) টক ঝাল খেয়ো সার চা নিলে পাবে আর।
উত্তরঃ আচার।
(২২৮) মুখে বল বাহা রে লেজ নাই আহা রে ছুতো-নাতা অজুহাত বল দেখি, কেয়া-বাত?
উত্তরঃ বাহানা।
(২২৯) শীতের শেষে রাজা এলো মুড়িয়ে মাথা সাধু হলো পা কেটেছে? বসতে বলো।
উত্তরঃ বসন্ত।
(২৩০) শীত কালে যে গায়ে উঠে অথচ ওই বনে এক পায়েতে দাঁড়িয়ে আছে স্বজাতিদের সনে।
উত্তরঃ শাল।
(২৩১) ফলের ওপর পাতার মুকুট শরীর ভরা চোখ আনন্দেতে মিষ্টি সে ফল নুন দিয়ে খায় লোক।
উত্তরঃ আনারস।
(২৩২) নেই তো শরীর তবু সে ভালো সে ছাড়া ভাই জগৎ-কালো
উত্তরঃ আলো।
(২৩৩) শির ছেঁড়া লতা শেষ ছাঁটা কথা ক্ষুদ্র সে পতঙ্গের দংশনে ব্যাথা
উত্তরঃ বোলতা।
(২৩৪) মাথার উপর পা চাপিয়া উল্টো কথা ‘কই’তিন অক্ষরে প্রশাসনে আমরা মশাই রই
উত্তরঃ পাইক।
(২৩৫) মাথা কাটলে খাটনি বুঝি পেট কাটলে হয় গাছে তিন অক্ষরে শান্তির এমন জায়গা কোথায় আছে।
উত্তরঃ আশ্রম।
(২৩৬) মা ছাড়া ভাই ইংরেজীতে শরীরটা খারাপ মা থাকলে করতে পারি পথের পরিমাপ।
উত্তরঃ মাইল।
(২৩৭) জননী থাকলে সপ্ত মাঝ সাঙ্গ হল তো সকল কাজ।
উত্তরঃ সমাপ্ত।
(২৩৮) তিন অক্ষরে নাম তার জঙ্গলেতে বাস করে শেষ অক্ষর বাদ দিলে সর্বনাশ ঘটে। মাঝের অক্ষর বাদ দিলে ঘোড়ে সপ্তাময় শিরোচ্ছেদে কী আশ্চর্য জীব শ্রেষ্ঠ হয়।
উত্তরঃ বানর।
(২৩৯) দিয়ে না তার ঠ্যাং ভেঙে যদি পাও থাকলে সবটা, দ্বিধাহীন তুমি নাও।
উত্তরঃ পাওনা।
(২৪০) কাটলে মাথা জল সে অথৈ কিম্বা ধণুর শর তিন অক্ষরের সবটা ফেলে ময়লা সাফাই কর।
উত্তরঃ সাবান।
(২৪১) মৎস্য মকর নহে পাণী পাণী বুলে হাঙ্গর কুম্ভীর নহে দেখিলে সে গিলে গিলিয়া উগারে সেই দেখে জনগণ হিয়ালী প্রবন্ধে পন্ডিত দেহ মন।
উত্তরঃ প্রদীপ।
(২৪২) দেখিতে রূপ দুই মুখ এক কায় এক মুখে উগারয়ে অন্য মুখে খায় মরিলে জীবন পায় হুতাস পরশে বুঝ হে পণ্ডিত ভাই সভামাঝে বৈসে।
উত্তরঃ নৌকা।
(২৪৩) জীয়ন্তে মৌন সেই মৈলে ভাল ডাকে গায়েতে নাইকো ছাল বিধির বিপাকে সেবা করিয়া থাকে দেবতার স্থানে অবশ্য আনয়ে নর মঙ্গল বিধানে।
উত্তরঃ উনুন।
(২৪৪) যোগী নয় সন্ন্যাসী নয় মাথার হুতাশন ছেলে নয় পিলে নয় ডাকে ঘনঘন চোর নয় ডাকাত নয় বর্শা মারে বুকে কন্যা নয় পুত্র নয় চুমু খায় মুখে।
উত্তরঃ নারিকেল।
(২৪৫) ধোঁয়াতে নিশান যদি জুড়ে দাও ভাই আকাশে অমনি তারে দেখিবারে পাই।
উত্তরঃ ধুমকেতু।
(২৪৬) প্রথম অক্ষর বলব না, শেষের কথা টক, দেখবো কেমন বলতে পারো, চতুর পাঠক?
উত্তরঃ নাটক।
(২৪৭) মাপতে লাগে কাপড় খানি দাবার ছকেও আছেন উনি।
উত্তরঃ গজ।
(২৪৮) আমরা যমজ ভাই দাদার মাথায় বোজা আমার মাথায় নাই।
উত্তরঃ ধাঁধা ।
(২৪৯) তিন অক্ষরে অগভীর বন মাঝে কেটে পাও বারি পা বাদ গেলে যুদ্ধ লাগবে সামলাও তারাতারি।
উত্তরঃ জঙ্গল।
(২৫০) উল্টো সোজা একই রয় লেজ বাদে তার সংখ্যা নয় তিন অক্ষরে সামনে বসে সবাইকে রঙ রূপ দেখায়।
উত্তরঃ নয়ন।
(২৫১) সমস্তটা মুখরোচক প্রায় সকলের প্রিয় কাটলে মাথা সংখ্যা মেলে মাঝখানে পানীয়।
উত্তরঃ আচার।
(২৫২) তিন অক্ষর সে যে আলোকবিহীন সাজে মাথা বাদ দিলে ঋণের বোঝা সাজে পা বাদ দিলে পুরোটা সে নয় যে।
উত্তরঃ আঁধার।
(২৫৩) গোলের গোড়া কণের স্বামী বর্জ্য হলেও শুদ্ধ মানি।
উত্তরঃ গোবর।
(২৫৪) পলক ফেলে দেখিস কি শির কেটে প্রথম রাশি।
উত্তরঃ নিমেষ।
(২৫৫) এতটুকু মেয়ে, তার লাল টুকটুকে বরণ রাজা বাদশাও কেঁদে আকুল এমন স্বভাব ধরণ।
উত্তরঃ পাকা মরিচ।
(২৫৬) মাথা কেটে নারদের পা রেখে মাথায় গলানো এ রূপো নাকি তাপ মাপা যায়।
উত্তরঃ পারদ।
(২৫৭) প্রথম শেষে গাঁথবে মালা দুই তিন মিলে হই পাত্র চার অক্ষরে আর কেউ নই খেলার জিনিস মাত্র।
উত্তরঃ ফুটবল।
(২৫৮) পেট কাটলে গলায় শোভা তিন অক্ষরের শব্দ জিতলে খুশি হারলে হবে ভিটে মাটি জব্দ
উত্তরঃ মামলা।
(২৫৯) শেষ বাদে হই মাথার শোভা মুন্ডু কেটে তীর সিংহ মায়ায় পরবে মনে হয়ো না অস্থির।
উত্তরঃ কেশর।
(২৬০) মিষ্টি ফকির যাযাবর সস্তা তো নয় বেশ দর।
উত্তরঃ দরবেশ।
(২৬১) আসছে কথা ভাসছে কথা কানের থেকে কানে বেতার জিনিস আসলে কী বুদ্ধিমানেই জানে।
উত্তরঃ মোবাইল।
(২৬২) গান শোন কথা শোন বলার উপায় নাই কেবল শ্রুতির সব বিনোদন হাওয়া থেকে পাই।
উত্তরঃ রেডিও।
(২৬৩) দাঁড়ায় না সে, বসে নাকো চলাই যে তার কাজ তত্ত্ব তাহার যে না বোঝে মাথায় পড়ে বাজ।
উত্তরঃ সময়।
(২৬৪) ওজন হবে না, লোক থাকবে না, তারে তারে আসা যাওয়া কথা কইব না, শব্দ করবে এক গ্রামখানি খাসা
উত্তরঃ টেলিগ্রাম।
(২৬৫) রোহি রোহিত দর্প গভীর পুস্করে। একাঙ্গুল জলে পুঁটি ছটফট করে।
উত্তরঃ ভাত।
(২৬৬) শৈশবে নিল না ঘরে নিল বৃদ্ধকালে কাহিল করিল মোরে ভেঙে, পায়ে দ’লে। পিটাইয়া তুলি দিল মোর যত চাম; অবশেষে দিল মোরে শ্রেষ্ঠ সম্মান।
উত্তরঃ ধান।
(২৬৭) ছোট্ট পুকুর দুটি, কালো জলে ভরা মাঝে তাহার কাটে সাঁতার কালো মানিক জোড়া ফেলল পাথর পুকুরেতে বহে জলের ধারা।
উত্তরঃ চোখ।
(২৬৮) বাচ্চা কে সে এমন মায়ের পেটে নেয়নি জন্ম বাপ দেখেনি কেমন খায় না কিছু, তেষ্টা ভীষণ জল শুধু খায় দু’মন।
উত্তরঃ চৌবাচ্চা।
(২৬৯) বকবক করে বেশি, ভারী হলে খুব খুশি চুপচাপ পড়ে থাকে লোকে তাকে কাঁখে রাখে।
উত্তরঃ মাটির কলসী।
(২৭০) আজব কথা শোনা যায় হাতে-মূখে-পায়ে খায় মাটির ভিতর মুখ- তার কাছেই জীয়ন মন্ত্র এবং মহাসুখ
উত্তরঃ গাছ।
(২৭১) হাজার গেলেও নেই দুখ একজনেই বাড়ায় সুখ।
উত্তরঃ চাঁদ।
(২৭২) চারপাশে লেপামোছা মধ্যিখানে আসন পাকা ওটার জন্যেই টিকে থাকা।
উত্তরঃ টিকি।
(২৭৩) ধুপধুনো জ্বেলে রাখো ক্ষুদ্র আমি-তবু ভয় কারণ আমি মহাশয়।
উত্তরঃ।
(২৭৪) সব কিছুতে তড়বড় করে শুধু ফরফর ওড়ে, তবু পাখি নয় বলো দেখি কি হয়?
উত্তরঃ আরশোলা।
(২৭৫) মাঠের ধারে নদীর পারে ভন্ড সাধু জপটা সারে মীন শিশুরা দেখতে গেলে এক পালকে গিলে ফ্যালে।
উত্তরঃ বক।
(২৭৬) বিধাতা নির্মাণ করে নাহিক দুয়ার তাহাতে পুরুষ এক বৈসে নিরাকার যখন পুরুষবড় হয় বলবান। বিধাতার সৃজন ঘর করে খান খান।
উত্তরঃ ডিম।
(২৭৭) মস্তকে করিয়া আনে হয়ে যত্নবান অপরাধ বিনে তার করে অপমান অপমানে গুণ তার কখন না যায় অবশ্য করিয়া দেয় সম্বল উপায়।
উত্তরঃ ধান।
(২৭৮) বিষ্ণুপদ সেবা করে বৈষ্ণবে সে নয় গাছ পল্লব নয় কিন্তু অঙ্গে পত্র হয় পন্ডিতে বুঝিতে পারে দু চারি দিবসে র্মূখেতে বুঝিতে নারে বৎসর চল্লিশে।
উত্তরঃ।
(২৭৯) বেগে ধায় রথযান না চলে এক পা না চলে সারথি তার পসারিয়া গা হিঁয়ালি প্রবন্ধে পণ্ডিত দেহ মতি অন্তরীক্ষে যায় রথ ভূতলে সারথি।
উত্তরঃ ঘুড়ি।
(২৮০) তৃষ্ণায় আকুল সেই জল খাইলে মরে স্নেহ নাহি করিলে তিলেক নাহি তরে উগারয়ে অন্য বস্তু অন্য করে পান সখা সঙ্গে আলিঙ্গনে ত্যজ্যয় পরাণ
উত্তরঃ দাবানল।
(২৮১) মাথা পেট যাই কাটো না থাকবে পড়ে মাথা পা গেলে সে রাখবে ধরে, তরল পদার্থটা তিন অক্ষরে বিখ্যাত নাম পারবে কি তা বলতে?
উত্তরঃ শিশির।
(২৮২) নেইকো চাকা চলছে গাড়ি সঙ্গে চলে লোকটা সামনে গেলেই বন্ধ দুয়ার নেই আলাপের ঝোঁকটা।
উত্তরঃ শামুক।
(২৮৩) ভিখারি সে নয় তবু হাত পেতে চায় পুরোহিত নয় তবু ঘন্টা বাজায়। সে পাগল তবু নয় বলতে কি পারো ভাই তার পরিচয়।
উত্তরঃ।
(২৮৪) পা যদি যায় পিঠে দেবে ইংরেজের ও সেপাই পেটটা গেলে ইংরেজিতে ওর কাছে ঠেলা পাই।
উত্তরঃ পুলিশ।
(২৮৫) আগুন নেই পড়ছে গা ফোস্কা নেই নেইকো ঘা বলতে পারো মোর দশা।
উত্তরঃ জ্বর।
(২৮৬) গাছ নেই পাতা আছে খনি ছাড়া মণি আকাশ ছাড়াই তারা ফোটে কোথা শুনি।
উত্তরঃ চোখ।
কেমন লাগলো আমাদের ধাঁধা প্রশ্ন এবং উত্তর গুলো সেটা অবশ্যই জানাবেন। আমরা বিভিন্ন ধরনের নতুন ধাঁধা, ধাঁধা প্রশ্ন উত্তর সহ, মজার মজার ধাঁধা, বাংলা ভালোবাসার এসএমএস এবং মেহেদি ডিজাইন নিয়মিত প্রকাশ করে থাকি। সেই সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন সকল প্রকার সরকারি বেসরকারি কোম্পানি এবং এনজিও চাকরির খবর।